নিজস্ব প্রতিবেদক:- ২৬ জুন রোজ শুক্রবার শরীয়তপুরের সখিপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেহের চান সরকার কান্দিতে ১৪৪ ধারাকে অমান্য করে গাছ কেটে জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে যুবকের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা করা হয়েছে। এ সময় ৯ বছরের এক শিশু আহত হয়েছে।
হামলার স্বীকার পারভেজ সরকার জানান, মেহের চান সরকার কান্দির সরকার বাড়ির মসজিদের পাশের ২৪ শতাংশ জমি তার পিতা মোঃ হুমায়ুন সরকার দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু ১।স্বপন সরকার ২। মাসুদ সরকার ৩। জামাল সরকার ৪। বাবুল সরকার ৪। জিয়া সরকার ৫। মুক্তার সরকার সহ আরো অনেকে উক্ত জমি জোড় পূর্বক দখল করার জন্য ৯ জুন ড্রেজার বসিয়ে বালু ভরাট করতেছিলো। কিন্তু ড্রেজার বসানো সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ভুক্তভোগী হুমায়ুন সরকার এর ছেলে পারভেজ সরকার ড্রেজার বসানোর তথ্য ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দিলে গত ১০ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে ঘটনাস্থলে এসে ড্রেজার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেন এবং জরিমানা করেন।
এরপর দখলকারীগন উক্ত ঈসুকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন উক্ত জমিতে গাছ কাটতে শুরু করেন। তাৎক্ষনিক থানায় অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গাছ কাটতে বাধা দেন। যেহেতু জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে সেহেতু মিমাংশা না করে জমিতে উভয় পক্ষের কেউ যেন প্রবেশ না করে সেই নির্দেশ দিয়ে জান পুলিশ।
গত ২৩ তারিখ পুনরায় আবার গাছ কেটে ফেলেন বিবাধীগন। পুনরায় ভুক্তভোগীগন থানায় অবগত করলে, থানার দায়িত্বরত অফিসার বিবাদীদের ফোন দিলে তারা গাছ কাটার ঘটনা অস্বীকার করেন। পরে থানা থেকে কবির সরকারকে শালিসের মাধ্যমে মিমাংসার দায়িত্ব দেয়া হলে। ২৬ জুন সকাল ৮ ঘটিকায় উভয় পক্ষের বসার কথা ছিলো। শালিস বিবাদিদের বাড়িতে বসতে চাইলে বাদী পক্ষ সরজমিনে বসার জন্য অনুরোধ করেন। পরে ১০.৩০ মিনিটে সরজমিনে বসেন। পরে কথা কাটাকাটি হলে বিবাদীগন বাদী এবং হুমায়ুন সরকারের দুই ছেলে সহ পরিবারের সবার উপর হামলা করা হয়। পরে তারা দৌড়ে নিজ বাড়িতে আশ্রয় নিলে তাদের বাড়িতে গিয়ে ১।স্বপন সরকার, ২। মাসুদ সরকার ৩। জামাল সরকার এলোপাতারি হামলা করেন। এসময় নাঈম সরকার এবং ৯ বছরের শিশু সামিয়া আহত হন। আহত নাঈম সরকার হামলার পর তার ফেইসবুক লাইভের মাধ্যমে হামলার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
হামলাকরীদের মধ্যে জামাল সরকারের বাসায় গেলে তাকে বাসায় পাওয়া যায় নাই। তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও বাসায় আসেন নাই।